গায়েহলুদে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভাই’রাল হওয়া যশোরের ‘বাইকার বধূ’ ফারহানা আফরোজ এখন খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর এই কী’র্তি নিয়ে অনেকেই আলোচনা-সমালোচনায় মুখর।
সেই ফারহানা এখন অবস্থান করছেন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। ‘ভাই’রাল হওয়ার খ্যাতি কেমন লাগছে?’ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফারহানাকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা খ্যাতি, না কুখ্যাতি’।
তিনি বলেন, ‘আসলে ২০১৭ সালের ২৮ এপ্রিল আমা’র বিয়ে হয়েছে। আমা’র পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল, বিয়ের কদিন পরে বাবাও মা’রা যান। এ কারণে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। সব কিছু মিলিয়ে আমা’র বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়নি।
করো’নার আগে গত ২৬ মা’র্চ অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে সে সময় অনুষ্ঠান করতে পারিনি।’ ফারহানা বলেন, ‘তখন পারিবারিকভাবে কলেমা হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে নেওয়া হয়নি। আমা’র একটা ছোট ছে’লেও আছে।
তার বয়স এক মাস ২৫ দিন। তার নাম চাহাত হাসান। মোটরসাইকেল শোডাউনের বিষয়টি আমা’র শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমা’র খুব শখ ছিল গায়েহলুদে এমন কিছু করার। ভাই’রাল হওয়ার পর এখন সমস্যা যেটা হচ্ছে, মানুষ খুব মিথ্যা কথা বলছে।
উল্টাপাল্টা প্রচার চলছে। ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করছে। এগুলো ভালো কিছু না। একটা ছে’লে যদি এটা করত তাহলে কিছুই হতো না। আমা’র পোশাকও জঘন্য কিছু ছিল না। লেহেঙ্গা পরে হলুদের পোশাকেই ছিলাম। সেই পোশাক পরেই বাইক চালিয়েছি।
আমা’র কথা হলো, যেটা হয়নি, সেটা কেন মিথ্যা অ’পপ্রচার হবে!’ফারহানা বলেন, ‘নেচেগেয়ে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান করেছি। বাইক চালিয়ে শহরে ঘুরেছি। ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন।
এটি আমা’র নিজস্ব উদ্যোগে করেছি। বন্ধুদের নিয়ে অনেক আনন্দ করেছি।’ উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে বাইক চালিয়ে ভাই’রাল হন ফারহানা। ১৪ আগস্ট তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেওয়া হয়।
তাঁর বিয়ে হয় পাবনার কাশিনাথপুরের বাসিন্দা ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন রাফির সঙ্গে। গায়েহলুদের শোভাযাত্রার ভিডিও ও ছবি তোলার কাজে নিযু’ক্ত আলোকচিত্রী তাঁর অনুমতি নিয়েই ফেসবুকে আপালোড করেন। পরে তা ভাই’রাল হয়।
২০১১ সালে যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভা’র্সিটিতে এমবিএ করছেন।