ঈদের দিন সোহেল কসাইয়ের আয় হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। মোট নয় গরু আর চার ছাগল কা’টাছেঁড়া করে তিনি শনিবার কোরবানীর ঈদে কামা্ই করেছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
সোহেল বলেন, মাতুয়াইলে আমা’র মাংসের দোকান আছে। কসাই হিসাবে সবাই আমাকে চেনেন। প্রতি বছর কোরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে আম’রা কসাই’রা উৎসবে মেতে উঠি। অন্যান্য বছর ১৪/১৫টি গরু পেলেও এবার পেয়েছি ৯টি। আমা’র দলে চারজন সদস্য।
তিনি বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করি। এরপর হাসিমুখে টাকা নিয়ে বাসায় ফিরি। টাকা ছাড়াও সবাই খুশি মনে মাংস দেন। যা আমাদের জন্য বাড়তি পাওনা।
সোহেল বলেন, এবার মূল্য হিসাবে হাজারে ১২০ টাকা করে মজুরি নিয়েছি। লাখে ১২০০০ টাকা। কেউ আরো বেশি নিয়েছে। সর্বনিম্ন হাজারে ১০০ টাকা করে নিয়েছে কেউ কেউ।
কসাই সোহেলের বাড়ি পটুয়াখালী জে’লার বাউফলের কালাইয়া। তিনি বলেন, ঢাকায় কসাইয়ের কাজ করি এক যুগের উপরে। শনিবার সাংবাদিক শামীমুল হকের সঙ্গে তার কথা হয় কদমতলীর ম’দিনাবাগে। ব্যবসায়ী সেলিম রেজার গরুর চামড়া ছাড়ানো থেকে মাংস কা’টার কাজ করেন কসাই সোহেল।
সেলিম রেজা এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে গরু কেনেন। তিনি বলেন, প্রতি বছরই কসাই সোহেল আমা’র কোরবানীর গরুর কাজ করেন। এজন্য তাকে এবার দিতে হয়েছে হাজারে ১২০ টাকা করে। মোট দিয়েছি ১৪ হাজার ৮০০ টাকা।
সেলিম রেজা বলেন, আম’রা এ কাজ করলে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তাছাড়া চামড়া ছাড়াতে পারি না। কসাইকে দিলে দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা গরু কা’টাছেঁড়া করার যন্ত্রপাতিও নেই।
সূত্র: মানবজমিন