প্রকৌশলী হয়েও কা’ঙ্ক্ষিত চাকরি না পেয়ে গবাদি পশুর খামার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন আতিকুর রহমান। মাত্র সাড়ে চার বছরে মেধা আর পরিশ্রমে এখন তার মাসিক আয় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা।
পেয়েছেন জয়পুরহাট জেলা পর্যায়ে সফল উদ্যোক্তার স্বীকৃতিও।জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বাদাউস গ্রামের কৃষক আতাউর রহমানের সন্তান আতিকুর রহমান। ২০১৪ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিয়ে স্বপ্নের চাকরি না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মার এ ডায়ালগই আতিকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি পালনসহ ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
জেলার পাঠানপাড়া ও করিমপুরে দুটি গরুর খামার দিয়ে শুরু করেন নতুন জীবন। গড়ে তোলেন ‘তাহেরা মজিদ মাল্টিপারপাস এগ্রো লিমিটেড’ নামে একটি সমন্বিত ফার্ম। যেখানে ৫৩ জন স্থায়ী ও ৬০ জন অস্থায়ী কর্মচারী কাজ করছেন।
আতিক বলেন, ‘হাটি হাটি পা পা করে মাত্র সাড়ে ৪ বছরে এলাকায় একজন অনুকরণীয় উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছি।’ সফল উদ্যোক্তা হিসেবে শুধু নিজের ভাগ্যই পরিবর্তন করেননি, বদলে দিয়েছেন গ্রামের অনেক বেকার যুবকের ভাগ্য।
তার সহযোগিতায় এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় প্রায় ৫শ’ খামার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও যুব উন্নয়নের কর্মকর্তারা বলছেন, যুব সমাজের কাছে আতিকুর রহমান এখন মডেল উদ্যোক্তা। জয়পুরহাট কালাই জিন্দাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন,
‘আতিকুলের সফলতা দেখে গ্রামের অন্যান্যরা অনুপ্রাণিত হয়ে খামার করছে।’ জয়পুরহাট জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তোছাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘আতিকুল এলাকায় এখন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা’ণ্ড পরিচালনা করছেন।’
আতিকুরের নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামোগত সহযোগিতায় এ পর্যন্ত জেলায় ৫১৭ জন যুবক পোল্ট্রি ও মৎস্য এবং গবাদি পশুর খামার করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন।