‘করো’নায় আ’ক্রান্ত আমিও। সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আসলে ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হওয়ার খবরটি আমি তেমন কাউকে জানাতে চাইনি।






সুস্থ হলে বিষয়টি সবাইকে জানানোর ইচ্ছে ছিলো আমা’র। এটা তো আয়োজন করে জানানোর বিষয়ও না। তবে সংবাদমাধ্যম থেকে আমাকে জিজ্ঞেস করা হলে বিষয়টি সবাইকে জানিয়েছি।






এরপর থেকে একে একে ফোন আসা শুরু হয়। আমি আসলে এখন রিলাক্সে থাকতে চাইছি। সবার দোয়া চাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারি’- বলছিলেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভিন পপি।






করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত এ নায়িকা। টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পপি শুক্রবার সেটি অনেককে জানিয়েও দেন। কিন্ত পরে তার বাবা বলেন, ‘পপি করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত নয়’। মূলত এরপরই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় ধুম্রজাল। ফোনে পপিকে না পেয়ে তার বাবার মন্তব্য নিয়ে খবর প্রকাশ হতে থাকে।






শনিবার এসব নিয়ে কথা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা পপির সঙ্গে। সমকাল অনলাইনকে পপি করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপরের কথাগুলো বলেন। সেই সঙ্গে আরও জানান, করো’না পজিটিভ হওয়ার পর শ্বা’সক’ষ্ট ও কাশিতে ভুগছিলেন। জ্বর ও শরীরে ব্যাথা ছিলো।






তবে এখন শ্বা’সক’ষ্ট তেমন নেই। ব্যাথাও কমতে শুরু করেছে। পপি বলেন, ‘আমা’র পরিবার আসলে কাউকে বিষয়টি জানাতে চায়নি।’ তাই তার বাবা ওই বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানান তিনি।






এদিকে পপির করো’না আ’ক্রান্ত হওয়ার খবরে তাকে ফোনে সবাই সাহস দিয়েছে বলে জানালেন এ নায়িকা। সেই সঙ্গে জানালেন, মানুষ তাকে এতোটা ভালোবাসে সেটাও প্রমাণ হলো।






পপি বলেন, ‘করো’না পজিটিভ আমাকে সবার ভালোবাসা নতুন করে উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপশি, বন্ধুবান্ধবরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের সহকর্মীরা খবরটি শোনার পর থেকে ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করছেন। সবার ফোন ধরতে পারছিনা। ফোন না ধরতে পারলেও সাহস পাচ্ছি। তাদের এ ভালোবাসার কারণেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছি আমি।’
করো’না আ’ক্রান্ত হলেও জীবনযাপন স্বাভাবিক চলছে বলে জানালেন তিনি। খাওয়ায় অরুচি নেই। মায়ের হাতের মজার মজার খাবার খাচ্ছেন।
পপি বলেন, ‘করো’না পজিটিভ হওয়ার পর থেকে বাসায় আলাদা থেকে পারিবারিক ডাক্তারের পরাম’র্শে চিকিৎসা নিচ্ছি। বাসার আর কেউ এ ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হননি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’