Breaking News

আমার শরীর স্পর্শ করলেই বিষ খাব, বাসর রাতে স্বামীকে হু’মকি নববধূর

সাধারণত বাসর রাত যে কোনও দম্পতির জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলির একটি হয়ে থাকে। তেমনটাই ভেবেছিলেন উত্তরপ্রদেশের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা মুকেশ যাদবও। নিজের বাসর রাতটি তার কাছেও হয়তো চিরস্মরণীয় হয়েই থাকবে কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য কারণে।

২৪ বছর বয়সি মুকেশের বিয়ে হয় গ্রামেরই মেয়ে সোনাক্ষীর সঙ্গে। দুই পরিবারের বড়রা দেখাশুনো করেই বিয়ে দিয়েছিলেন দু’জনের। সোনাক্ষীকে দেখেশুনে পছন্দ হয়েছিল মুকেশেরও। আপাতদৃষ্টিতে শান্তশিষ্ট সোনাক্ষীকে বিয়ের আগে থেকেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন মুকেশ।

কিন্তু নিজের পছন্দের মানুষটি সম্পর্কে তার সমস্ত ধারণা বদলে যায় বিয়ের পরে বাসর রাতে। স্ত্রীর সঙ্গে কিছু প্রেমনিবিড় মুহূর্ত কাটাবেন, এমনটা আশা করেই মুকেশ সেদিন শয্যাকক্ষে ঢুকেছিলেন।কিন্তু সদ্যবিবাহিত স্ত্রীয়ের পাশে খাটে গিয়ে বসতেই স্ত্রী যেন আক্ষরিক অর্থেই ‘ফোঁস’ করে ওঠেন।

হু’মকির সুরেই নিজের স্বামীকে সোনাক্ষী বলেন, ‘তুমি আমার শরীরে হাত দেওয়ার ভেবোও না।’ বিহ্বল মুকেশ কিছু বলার চেষ্টা করতেই সোনাক্ষী বলেন, ‘তুমি আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করলেও আমি বিষ খেয়ে ম’রব।’মুকেশের বিড়ম্বনার এখানেই শেষ নয়।

ফুলশয্যার রাতটি কোনোক্রমে সোনাক্ষীর সঙ্গে একঘরে কা’টানোর পরদিন সকাল থেকেই নাকি সোনাক্ষীর মোবাইলে কোনও এক অজানা নম্বর থেকে এক যুবকের ফোন আসা শুরু হয়। মুকেশ এই নিয়ে প্রশ্ন করলে চেঁচামেচি করতেন সোনাক্ষী।

পরিবারে অশান্তি দিনে দিনে বাড়ছিল। শেষমেশ নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান সোনাক্ষী মুকেশের পরিবারের লোকজন এতটাই ক্ষু’ব্ধ যে, তারা সোনাক্ষীর নামে গাজিয়াবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সংবাদমাধ্যমের তরফে মুকেশের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নববধূর আচরণে তারা সকলেই বি’স্মিত ও আহ’ত হয়েছেন।

তাদের অনুমান, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল সোনাক্ষীর। সেই কারণেই পরিক’ল্পিতভাবে তিনি মুকেশের সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খ’তিয়ে দেখছে, এবং দুই পরিবারের মধ্যে যাতে মিট’মাট হয়ে যায়, সে ব্যাপারে চেষ্টা করছে। সূত্র : এবেলা

About Utsho

Check Also

ভরিতে স্বর্ণের দাম বা’ড়লো ২৩৩৩ টাকা

ভরিতে স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *