ইহুদিবাদী ইস’রাইলের নারী সে’নারা অর্থের অভাবে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত হচ্ছে। ইস’রাইলের অন্তত ৫০০ সে’না পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক জ’রিপ রিপোর্ট বের হয়েছে।
এ তথ্য প্রকাশের পর মিশেল রোজিন নামে ইস’রাইলের একজন নারী সংসদ সদস্য সোমবার জেরুজালেম পোস্ট পত্রিকায় এক মতামত কলামে এ রিপোর্ট’কে ইস’রাইল সরকারের জন্য “লজ্জার প্রতীক” বলে মন্তব্য করেছেন।
এছাড়া, ‘এলেম-ইয়ুথ ইন ডিসট্রেস ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশন’র প্রকাশ করা অন্য এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইস’রাইলের শতকরা ৩০ ভাগ তরুণ-তরুণী পতিতাবৃতিতে জ’ড়িত যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছর।
রোজিন বলেন, ইস’রাইলের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, মা’রাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ইহুদিবাদী বহু নারী ও পুরুষ সে’নারা পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে পরিস্থিতি সংকটজনক এবং এ অবস্থা ঠেকাতে আমাদেরকে অবশ্যই কাজ করতে হবে।
মিশেল রোজিন বলেন, ইস’রাইলের সে’নারা বার বার সহায়তার আবেদন জানালেও তারা কোনো সহযোগিতা পায় নি। ফলে তারা জীবনের প্রয়োজন মেটাতে অর্থ আয়ের জন্য পতিতাবৃত্তির মতো বিকল্প পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। রোজিন বলেন,
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইস’রাইলের সে’না কমান্ডাররা বিষয়টি জানলেও তারা অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো ভূমিকা নেন নি। এমনকি পতিতাবৃত্তির কোনো কোনো ঘটনা সে’নাঘাঁটির ভেতরেই ঘটেছে।
একটি ঘটনা থেকে জানা গেছে- ইস’রাইলি সে’নাদের নারী বিষয়ক উপদেষ্টাকে একজন সে’না এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। কিন্তু ওই কর্মক’র্তা বলেছেন, সে’নাঘাঁটির বাইরে যৌ’ন বিষয়ক ঘটনা সে’নাবাহিনীর আওতার বাইরের বিষয়।
সংসদ সদস্য রোজিন জানান, তিনি এরইমধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে ইস্যুটি জরুরিভিত্তিতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। সে’নাবাহিনীকে কেন অব্যাহতভাবে উপক্ষোর দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে- কমিটির কাছে সে প্রশ্নের জবাব চাওয়া হবে বলে জানান রোজিন।