সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন উচ্চ ধাপে নির্ধারণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
গত বুধবার (২৯ জুলাই) এ নিয়ে অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে জানিয়ে আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এ বিষয়ে দ্রুতই আদেশ জারি করবে অর্থ বিভাগ।
শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হলেও নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে বেতন ফিক্সেশন করার সময় অনেকের বেতন কমে যাচ্ছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ তৈরি হয়। এ বিষয়টির সমাধান করতে ২৮ জুলাই অর্থ সচিবকে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয়।
আর প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১২ থেকে গ্রেড-১১ তে উন্নীত করা হয়। ‘কিন্তু শিক্ষকদের বর্তমান মূল বেতনের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে অনেক শিক্ষকের বেতন কমে যাচ্ছে। এতে তারা বেতন বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন, সে কারণে মাঠ পর্যায়ে বেতন ফিক্সেশন হচ্ছে না। ’
চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকদের বেতন উন্নীতকরণ শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান মূল বেতনের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ফলে সরকারির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পরিবর্তে ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণে এরূপ সমস্যার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ
২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করে বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই নির্দেশনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্ট অসন্তোষ নিরসন হবে ম’র্মে প্রতীয়মান হয়।
‘এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের মতো সংশ্লিষ্ট বেতন স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণে অর্থ বিভাগ জারি করা পত্রের অনুরূপ নির্দেশনার জন্য অনুরোধ করা হলো। ’
এ নিয়ে বুধবার (২৯ জুলাই) গণশিক্ষা সচিব অর্থ সচিবের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। পরে আকরাম-আল-হোসেন ফেসবুকেও এ নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সচিব লিখেছেন, ‘… আজ অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে আপনাদের উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণের বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি উচ্চ ধাপে আপনাদের বেতন নির্ধারণ হবে ম’র্মে আমাকে কথা দিয়েছেন এবং খুব দ্রুত জিও জারি করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। এটি একটি বিশাল অর্জন।