গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) টাঙ্গাইল আ’দালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে শাবনুর আক্তার খাদিজাকে বিয়ে করার কথা ছিল আব্দুল খালেকের। কিন্তু ওইদিন শাবনুর আ’দালতে না গিয়ে অন্য ছে’লের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়।
এ খবর পরে জানতে পারে খালেক। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (২১ আগস্ট) কোনো এক সময় শহরের সাহাপাড়ায় ভাড়া বাসায় শাবনুরকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বা’সরোধ করে হ’ত্যা করে পালিয়ে যায় খালেক। শনিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম হোসেনের আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দেয় খালেক।
এর আগে শুক্রবার রাতে শহরের সাহাপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে শাবনুর আক্তার খাদিজার (২০) ম’রদেহ উ’দ্ধার করে পু’লিশ। পরে শনিবার ভোরে সদর উপজে’লার করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা
মীর মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে পু’লিশ ঘা’তক আব্দুল খালেককে গ্রে’ফতার করে। তিনি শহরের কাগমা’রা এলাকার আবু সাঈদের ছে’লে। নি’হত শাবনুর দেলদুয়ার উপজে’লার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনাখোলা গ্রামের জাকির হোসেনের মে’য়ে।
টাঙ্গাইল সদর থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে খালেক সাহাপাড়ায় শাবনুরের ভাড়া বাসার ঘর বন্ধ করে বাইরে চলে যান। এসময় পাশের ভাড়াটিয়াকে আব্দুল খালেক জানান, শাবনুর ঘুমাচ্ছে, তিনি জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছেন।
সারাদিন যাওয়ার পর আশপাশের মানুষের স’ন্দেহ হয়। তারা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও পু’লিশকে ঘটনা জানায়। পরে কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পু’লিশ রাত ১০টার দিকে শাবনুরের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে। শনিবার ভোরে সদর উপজে’লার করটিয়া থেকে আব্দুল খালেককে গ্রে’ফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্বা’সরোধ করে শাবনুরকে হ’ত্যার কথা পু’লিশের কাছে স্বীকার করে আ’দালতে জবানব’ন্দি দিতে রাজি হন। ওসি আরো জানান, ময়নাত’দন্ত শেষে ম’রদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নি’হত শাবনুরের বাবা জাকির হোসেন জানান, গত সপ্তাহে শাবনুর গাজীপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়।
শাবনুর বিয়ে করেছে কিনা তারা জানেন না। অ’পরদিকে আব্দুল খালেকের মা জানান, গত সোমবার (১৭ আগস্ট) খালেক বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। বাড়িতে খালেকের স্ত্রী’ রয়েছে। তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর