গোটা গ্রামে ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। তা একমাত্র পাওয়া যায় উঁচু পাহাড়টায় উঠলে। আর তাই লকডাউনের মাঝেই অনলাইন ক্লাস করতে প্রত্যেকদিন সকাল আটটায় পাহাড়ে ওঠা এবং বেলা দু’টোয় নিচে নেমে আসা।
এটাই ভারতের রাজস্থান প্রদেশের বারমারের পাঁচপাদরা গ্রামের বাসিন্দা ১২ বছরের হরিশের দৈনিক কাজ। ফোনে নেটওয়ার্ক পেতে উঁচু পাহাড়ে উঠেই ক্লাস করে সে। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় পড়াশোনার জন্য হরিশের এই অদম্য লড়াইয়ের কাহিনী ভাইরাল হয়েছে।সংবাদ প্রতিদিন
করো’নার কারণে স্কুল বন্ধ। ফলে অনলাইন ক্লাসই এখন ভরসা শিক্ষার্থীদের। তবে ফোনে নেটওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন। আর এখানেই সমস্যায় পরে হরিশ। শেষপর্যন্ত পাহাড়ে উঠে ক্লাস করার বিষয়েই মনস্থির করে ফেলে সে।
কারণ তার মতে, ক্লাস করতে না পারলেই পিছিয়ে পড়বে সে। আর তাই প্রত্যেকদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে সে। টেবিল,চেয়ার, বই,খাতা হাতে নিয়েই আট’টার মধ্যে পাহাড়ে ওঠে। দুপুর দু’টো পর্যন্ত ক্লাস করে ফের নেমে আসে।
গত ৩৪ দিন ধরে এভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখা জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের ছাত্র হরিশ। আর হরিশের এই ছবিই টুইটারে শেয়ার করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটসম্যান বিরেন্দ্র শেহওয়াগ। এমনকী পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি।
শেহওয়াগ লেখেন, ‘হরিশ নামে রাজস্থানের বারমারের এক ছাত্র অনলাইন ক্লাসের জন্য নেটওয়ার্ক পেতে একটি পাহাড়ে ওঠে। সকাল আটটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত ক্লাস করে বাড়ি ফেরে। হরিশের এই লড়াই যথেষ্ট প্রশংসনীয়, প্রয়োজনে তাকে সাহায্য করতে চাই।’ এরপরই ভাইরাল হতে থাকে শেহওয়াগের এই পোস্ট।